আকাশ রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে গাছে বেঁধে নাসিরুল (২১)কে অমানবিক নির্যাতন করার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা চাপা দিতে সাংবাদিক মাহবুব সহ ৫ জনের নামে আদালতে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে । মেয়ের বাবা করিমুল বাদি হয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করেন ।

প্রসঙ্গতঃ রানীশংকৈল উপজেলার ভাংবাড়ী গ্রামের করিমুল ইসলামের মেয়ে কেয়া মনি’র সাথে একই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে নাসিরুল ইসলামের সাথে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ‌‌। একপর্যায়ে তারা গোপনে বাড়ি থেকে পালিয়ে গত ৯/৯/২১ ইং তারিখে ঠাকুরগাঁও নোটারি পাবলিক অব বাংলাদেশ কার্যালয়ে বিয়ে করেন । এরপর তারা নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করে । কয়েকদিন পর উভয় পরিবারের উদ্যোগে তাদেরকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয় । ছেলে মেয়ে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করে । এ অবস্থায় গত ২০/৯/২১ ইং তারিখে বিকেলে নাসিরুল ভাংবাড়ী বগুড়াপাড়া স্কুলের দিকে বেড়াতে গেলে তাকে করিমুল ও তার পরিবারের লোকজন আটক করে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করে । পরদিন এ নিয়ে নাসিরুলের বাবা রানীশংকৈল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।গুরুতর অসুস্থ নাসিরুলকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার একটি ভিডিও গত ২৩/৯/২১ ইং তারিখে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে রানীশংকৈল থানা পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৪ / ৯/২১ ইং মেয়ের মা সেলিনাকে গ্রেফতার করে । ঐ দিনই নাসিরুলের বাবা ৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন । এর প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ গত ২৭/৯/২১ ইং মূল আসামি করিমুল কে গ্রেফতার করে ।

এ বিষয়ে সাংবাদিক মাহবুবের সাথে কথা বললে সে জানায় নির্যাতিত নাসিরুল আমার বংশীয় চাচাতো ভাই , তাকে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করে বাদী পক্ষ । এ নিয়ে সংবাদ পরিবেশন এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কারণে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি অপহরণ বা এ ধরণের কোন অন্যায় কাজে আদৌ জড়িত নই। এটা আমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং থানা পুলিশকে সঠিক তদন্ত করার অনুরোধ জানাচ্ছি। মাহবুব ছাড়াও অন্য আসামিরা এ মামলাকে হয়রানিমূলক বলে জানান।